সহবাসের নিয়ম নীতি !!!!!

সহবাসের নিয়ম নীতি

সহবাসের নিয়ম নীতি

সহবাসের নিয়ম নীতি একজন জানতে চেয়েছেন যে  পবিত্র রমজান মাসে  রোজার সময় স্ত্রী সহবাসের কোনো নিয়ম আছে কি না।

প্রশ্ন : আমারা রমজান মাসে নিয়মিত রোজা রাখি এবং আল্লাহর ইবাদাত করে থাকি।

এ ক্ষেত্রে আমরা স্বামী স্ত্রী সহবাসে মিলিত হতে পারব কি না বা এ ক্ষেত্রে কনো নিয়ম বা নিশেদ আছে কি না ?

উত্তর : কোরআনের মধ্যে আল্লাহতায়ালা স্পষ্ট করেছেন, শুধু সুবহে সাদিক থেকে ইফতারের সময় পর্যন্ত আপনি সিয়াম পালন করবেন।

এ সময় স্ত্রী সহবাস কেন, সব ধরনের মানবিক চাহিদা বা যৌন চাহিদা কোনোভাবেই আদায় করতে পারবে না।

এগুলো সম্পূর্ণ হারাম, যেটি কামনা-বাসনার সঙ্গে সম্পৃক্ত। সেহেতু এ কাজগুলো করা যাবে না।

বাকি সময় বা সন্ধ্যার পর থেকে আপনার ইচ্ছা অনুযায়ী করতে পারবেন।

সহবাসের নিয়ম নীতি

সহবাসের নিয়ম নীতি

সহবাসের সময় কোন পজিশনে করতে হবে ??

সূরা বাক্বারা- ২২৩ বলা আছে – তোমাদের স্ত্রী তোমাদের ফসলক্ষেত্র। সুতরাং তোমরা তোমাদের ফসলক্ষেত্রে গমন কর, যেভাবে চাও।

স্ত্রীর মলদ্বারে সহবাস করা যাবে ???

আপনার যখন ইচ্ছা আপনি আপনার স্ত্রীর সাথে সহবাস করতে পারেন।

আপনার বীর্য বের হলে বা আপনার স্ত্রীর বীর্য পাত হলে কিছু সময় বিরতি নিন, এক্ষেত্রে আপনি শুদু আপনার নয় আপনার স্ত্রীর শুখ কেও প্রধান্ন দিন। সহবাসের নিয়ম নীতি

আপনি যতটা মিলন কে উপভক করেন আপনার স্ত্রী কেও উপভক করতে দিন ।

কেননা শারীরিক শুখ শুদু আপনার নয় আপনার স্ত্রীর ও প্রয়োজন।

আপনার পাসাপাসি আপনার সঙ্গী মিওন কে উপভক করছে কি না সেটা খেয়াল রাখুন।

এ ক্ষেত্রে আপনি যদি আপনার পাসা পাসি আপনার স্ত্রীর শুখ তাকে প্রধান্ন না দেন তা হলে আপনার বিবাহিত জিবনের মদ্ধে অসান্তি চলে আস্তে পারে।

সুতরাং বিষয়টা মাথায় রেখে মিওন করবেন। স্ত্রিকে ভোগ্য পন্ন বানাবেন না।

শহবাসের সময় স্বামী আনন্দ পাচ্ছে না বা স্ত্রী আনন্দ পাচ্ছে না আরকম ছিন্তা ভাবনা আনবেন না।

মনে রাখবেন যে আপনাদের দুই জনের শুখ হচ্ছে এবং আপনারা সেটা উপভক করছেন।

শুদু নিজের তা ভাবনে না বা নিজের শুখের কথা চিন্তা না করে দুই জনের কথা ভেবে মিলন এ লিপ্ত হবেন দেখবেন আপনাদের শুখের কোন কমতি নেই।

সহবাসের পর করণীয় কি?

সহবাসের পর স্বামী স্ত্রী উভয় আর খুব তারাতারি যৌনাঙ্গ ধুয়ে ফেলা উচিত ।

কেননা না ধুলে নানা ধরনের রগ হতে পারে, এ ক্ষেত্রে ধুয়ে নিলে রোগের হাত থেকে বাছা যায়।

আর ধোয়ার ক্ষেত্রে গরম পানি বেবহার না করে ঠাণ্ডা পানি বেবহার করা ভালো

এইটা ইসলামের নিয়মের মধ্যে না থাকলেও ডাক্তারদের মতে সহবাসের পরে হালকা গরম পানি নিয়ে যৌনাঙ্গ ধুয়ে নেওয়া উত্তম।

আর এর চাইতে ভালো হয় যদি আপনি গোছল করে নেন।

আর গোছল করার ইচ্ছা না থাকলে প্রবর্তিতর সময় এ গোসল করে নিবেন, আর গোছল করার আগে কোন ইবাদতে অংশ নিবেন না ।

যদি প্রথমবার সহবাস শেষে দ্বিতীয়বার সহবাস করতে ইচ্ছা করে বা আপনি পুনরায় সহবাস করতে চান তাহলে আগে ওষু করে নেওয়া মুস্তাহাব।

সহবাসের নিয়ম নীতি

 এই প্রসঙ্গে রাসূল (সা) বলেছেন –

তোমাদের কেউ (স্বামী স্ত্রী) সহবাস করার পরে যদি দ্বিতীয়বার সহবাস করতে চায় তাহলে সে যেন ওযু করে নেয়। এটা তার দ্বিতীয় সহবাসকে স্বাদময় করবে।

ইসলামে সহবাসের নিষিদ্ধ গুরুত্বপূর্ন বিষয়

ইসলামিক নিয়ম মেনে সহবাস করলে অনেক সওয়াব হয় এবং আল্লাহ তায়ালা অনেক খুশি হয়ে যান।

ভুল ভাবে সহবাস করলে গুনাহ হবে। আমরা অনেকেই নিজের অজান্তেই গুনাহের কাজ করে ফেলি।

সহবাস করার যেমন ইসলামে কিছু নিয়ম আছে তেমনি কিছু নিষিদ্ধতাও আছে। যা আমাদের জানা জরুরী।

সর্ব প্রথম মাসিক বা পিরিয়ড চলা কলীন সময় সহবাস করা যাবে না।

অনেকেই স্ত্রীকে জোর করে মাসিকের সময় সহবাস করে বলে জানা যায়। পিরিয়ডের সময় নারীদের পেটে ব্যথা হয়ে থাকে। সহবাসের নিয়ম নীতি

এরপরে পায়ুপথে বা মলদ্বারে স্ত্রীর সাথে সহবাস করা যাবে না। এটা সম্পূর্ন রুপে নিষেধ করা হয়েছে।

আপনার স্ত্রী আপনি যেভাবে খুশি সেভাবেই যৌন মিলন করতে পারেন কিন্তু মলদ্বারে সহবাস বা মিলন করা যাবে না, এতে আপনার অনেক গুনাহ হবে।

 হাদিসে আছে হযরত মুহাম্মদ (সা) বলেছেন – যে ব্যক্তি স্ত্রীর সাথে মলদ্বারে সঙ্গম করলো আল্লাহ তার দিকে দয়ার দৃষ্টিতে তাকান না। তাই এক্ষেত্রে আমাদের অনেক সতর্ক হতে হবে।

এরপরে সহবাসের সময় নিজের স্ত্রী ছাড়া অন্য কোন স্ত্রীর কথা ভাবা বা কল্পনা করা যাবে না। অনেকে এখানে না জেনেই ভুল করেন।

আপনার স্ত্রীর সাথে মিলন করার সময় কখনোই অন্য কোন মেয়ের কথা মাথায়ও আনবেন না।

এরপরে রোজা থাকা অবস্থায় কোন ভাবেই সহবাস বা যৌন কাজ করা যাবে না তাহলে রোজে ভেঙ্গে যাবে।

তবে স্বামী স্ত্রী একে অন্যকে কিস করতে পারে কিন্তু কোন ভাবেই যেন যৌন রস বের না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

সহবাসের নিয়ম নীতি

রমজান মাসে ইফতারির পরে হতে সেহেরীর আগ পর্যন্ত অনেক সময় আছে তখন আপনি সহবাস করতে পারেন এতে কোন নিষেধ নেই।

এরপরে স্ত্রী অসুস্থ থাকা অবস্থান সহবাস করবেন না। এতে আপনার স্ত্রী আরো অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও ডাক্তাররাও অসুস্থ অবস্থায় সহবাস করতে নিষেধ করেছেন। 

সহবাস নিয়ে কিছু কুসংস্কার ও ভুল ধারনা

সহবাস নিয়ে আমাদের সমাজে কুসংস্কারের আর শেষ নেই। কিছু কিছু এমন সব কথা বলে শুনলে অবাগ হয়ে যায় মানুষ।

ইসলামে স্ত্রী সহবাসের ইসলামিক নিয়ম যেমন আছে তেমন নিষিদ্ধতাও আছে। কিন্তু সেটা না মেনে সমাজের মানুষ ভূল সব জিনিস নিয়ে বসবাস করছে। চলুন সেগুলো জেনে নেই।

  • রাত্রি দ্বি-প্রহরের আগে বা দিনের বেলা সহবাস করা যাবে না।
  • ফলগাছের নিচে সহবাস করা যাবে না।
  • পূর্ব-পশ্চিম দিকে শুয়ে স্ত্রী সাথে সহবাস করা যাবে না।
  • স্বপদোষ হলে গোসল না করে সহবাস করা যাবে না।
  • বিভিন্ন পজিশনে সহবাস করা যাবে না।
  • ভরা পেটে মানে খাবার খেয়ে এর পরে সহবাস করা যাবে না।উলঙ্গ হয়ে সহবাস করা যাবে না।
  • বিদেশে যাওয়ার আগের রাতে স্ত্রীর সাথে যৌন মিলন করা যাবে না।
  • স্ত্রীর যৌনাঙ্গে চেয়ে সহবাস করা যাবে না।
  • চন্দ্র মাসের প্রথম ও পনের তারিখ রাতে সহবাস করা যাবে না।
  • রবিবার ও বুধবার সহবাস করা যাবে না।সহবাসের পরে গোসল না করে কিছু স্পর্শ করা যাবে না।

এসমস্ত ভ্রান্ত ও কুসংস্কার মেনে চলার কোন যুক্তিকতা নেই। যে সকল কথা ইসলামে নেই সে সকল কথা আমরা কেন মানতে যাবো। ইসলামে সকল কিছুর সঠিক সমাধান দিয়ে দিয়েছে। তাই আমরা সব কিছুই ইসলামিক নিয়মে চালাবো।

প্রশ্নঃ সহবাসের সময় থুথু ব্যবহার করা যাবে কি?

উত্তরঃ যাবে কিন্তু উচিত নয়। এতে বিভিন্ন রোগ হতে পারে।

প্রশ্নঃ গর্ভকালীন বা প্রেগনেন্ট থাকা অবস্থায় সহবাস করা যাবে?

উত্তরঃ জি যাবে কিন্তু সাবধান থাকতে হবে যেন বাচ্চার কোন ক্ষতি না হয়।

প্রশ্নঃ রোজা রেখে সহবাস করা যায় কি?

উত্তরঃ না। রোজার পরে মানে রাতে সহবাস করা যাবে।

সহবাসের নিয়ম নীতি

Leave a Comment

Verified by MonsterInsights