Bangla Romantic Golpo আজ বাবার জিদের কারনে নিজের জীবন শেষ বললেই চলে।
তার কারণ হচ্ছে আমার সদ্য বিবাহ করা বুড়ো স্বামি ।
হ্যাঁ আজ আমার বিয়ে ,
আমি তুলি সবাই ভালোবেসে তুলিমনি বলে ডাকে ,আমার বয়স ১৯।
ইন্টার পাশ করে অনার্স ফার্স্ট ইয়ার ।
আর আমার স্বামী পারভেজ আলম ,বয়স ৩৯, চাকরি করে,
এখন বুঝলেন তো কেনো বললাম আমার জীবন শেষ ,
সব হয়েছে আমার নিজের আপন বাবার কারণেই ,
মা অনেক বার বুঝিয়েছে বাবাকে এই বিয়ে না দেওয়ার জন্য,
কিন্তু বাবার এক কথা ছেলেদের বয়স কোনো বিষয় না তার চেয়ে বড় কথা ছেলে ভালো ,
ছেলের মা -বাবাও নেই ,দুই বোন তাদের ও বিয়ে দিয়ে দিয়েছে,
দুই বোন ছাড়া কেউ নেই ,তাই আমি চাই আমরায় ওর বাবা মা হয়ে ওর শূন্যতা পূরণ করে দি।
কিন্তু আপনার মেয়ে তো বলছে এই বিয়ে করবে না রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
ও করবে ওর বাপ ও করবে ,
এ নিয়ে আর একটা কথা যদি বলতে হয় তাহলে কিন্তু খুব খারাপ হবে
বাবার কথা তখন মা ও দমে যায় ,
আমার এতো না বলার পরের আজ আমার বিয়ে হয়ে গেলো এই বুইড়াটার সাথে।
আমার দুই ননদ মিসু ও নিসু ,মিসু বড় আর নিসু ছোট । আমার ননদরা একটা ফুলের সাজানো ঘরে আমাকে বসিয়ে রেখে বিভিন্ন মজা করছে ,
কিন্তু সত্যিই হলেও আমার ননদেরা আমার চেয়েও বড়।
তাদের এসব কথা আমার বিরক্ত লাগছে কিন্তু প্রকাশ ও করতে পারছি না ,
এদের কি দোষ যেখানে আমার নিজের বাবাই আমার সাথে এমন শক্রতামি করেছে ।
হঠাৎ মিসু বলে উঠলো –
যাই গো ভাবিমনি ,দেখে রেখো আমার ভাই টাকে রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
কি পাগলের প্রলাপ, আমি কিনা দেখে রাখবো এই বুড়ো টাকে ,আরে আমাকে দেখবে কে তাহলে যতোসব (মনে মনে) তবুও একটি শুকনো হাসি দিয়ে বললাম আচ্ছা
নিসু: শুধু দেখে রাখলেই হবে নাকি ভাবিমনি , আমাদের ভাই কে মায়া করতেও হবে হা হা হা
রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
কি সব বলে এরা,আমি নাকি মায়া করবো এই বুড়ো কে(মনে মনে)
নিসু:কি ভাবি করবে না বুঝি
আমি:হে মানে–(এমন মায়া করবো না তোমার ভাইয়া বাপ বাপ করে পালাবে মনে মনে)
মিসু:এই নিসু থামবি , তুই না হয় লজ্জা সরমের মাথা খেয়েছিস তাই বলে এসব কি বলিছ , দুষ্টু মেয়ে একটা,
ভাবি তুমি কিছু মনে করো নিতো
আমি :না কিছু মনে করিনি
মিসু:এই নিসু আয় আমার সাথে ,আর ভাবি যাই আমরা , কোনো প্রয়োজন হলে বলো কিন্তু ,
আজ আমার বাসায় আছি , কিন্তু কাল তোমার বউ ভাত করে চলে যাবো।
এই বলে আপদ দুইটা বিদায় হলো।
কিন্তু আমি এখনোও বুঝতে পারছি না এই বুড়োকে কিভাবে আমার কাছ থেকে দূরে রাখবো,
আল্লাহ প্লিজ হেল্প মি । বলতে না বলতেই খাটাসটা এসে গেছে।
আস্তে আস্তে বিছানার দিকে আসছে না আর না এখনি কিছু বলতে হবে-
আমি: (বালিশ হাতে নিয়ে)এই যে আমার কাছে আসছেন কেনো আর আসবেন না,
না হলে বালিশ দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেবো কিন্তু দেত কি সব বলছিস তুলি , রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
(আমার এসব কান্ড দেখে লোকটা অনেক টায় আশ্চর্য হয়েছে তা তার চোখ মুখ দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। কিন্তু আমি ও এতো সহজে ছাড়ছি না )
দেখুন আমি কিন্তু সত্যিই আপনার মাথা ফাটিয়ে ফেলবো, এখানে আসবেন না কিন্তু।
পারভেজ: আচ্ছা ওকে ওকে আমি আসছি না তুমি এতো উত্তেজিত হয়ো না আগে শান্ত হয়ে বসো ,
উনার কথা শুনে আমি অবাক হলাম এতো শান্ত কন্ঠে ,তাই বালিশটা পাশে রেখে মাথা নিচু করে বসে থাকলাম
পারভেজ:এখন বলো কি হয়েছে?
(এমন ভাব করছে যেনো কিছু হয়নি আর উনি জানে না কিছুই)
পারভেজ:কি হলো কিছু বলছো না কেনো,
আমি:মানে-
পারভেজ:আমি বুঝতে পেরেছি তুমি এই বিয়েতে রাজি না।
আমি ও ইচ্ছা করে বিয়ে করেনি।
আমার দুই বোনের চাপে পড়ে করতে বাধ্য হয়েছি কিন্তু তুমি যে এতো ছোট তা জানলে আমি নিজেই বিয়ে করতাম না।
রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
আমি ভাবিনি এমন হবে তবুও আমি দুঃখিত আর হে তোমার ইচ্ছা ছাড়া আমি কোনো জোর জবরদস্তি করবো না ,
আমি শান্ত স্বভাবের মানুষ।
শুধু আমার বোন দুটোকে ভালোবেসো,
হ্যাঁ, জানি ওরা তোমার বড় কিন্তু সম্পর্কের দিকে তুমি ওদের বড় ।
তাই আমি চাই কখনোও তুমি ওদের প্রতি কোনো রকম খারাপ আচরণ না করো।
(আমি মাথা নাড়িয়ে উনার কথার সম্মতি দিলাম।)
পারভেজ:আর হে এখন তুমি গিয়ে শুয়ে পড়ো অনেক দখল গিয়েছে তাই শুয়ে পড়ো ,
আমি:আপনি কোথায় ঘুমাবেন?
পারভেজ:এইতো সোফাই ঘুমিয়ে যাব ওকে ঘুমাও গুড নাইট।
আমি:উনার দিকে আমি অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছি আমি ভাবতেও পারিনি উনি এতো সহজেই মেনে নেবে আমার কথা,
তবুও একটা ভয় যদি আব্বু কে কিছু বলে দেয়। রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
বলে দিলে বলুক আমার কি , আব্বুর কারনেই আমার জীবন নষ্ট আমি কখনো ও কথা বলবো না আব্বুর সাথে,এই বলে ঘুমিয়ে পড়লাম,
সকালে ঘুম ভাঙ্গালো ছোট বিচ্ছু ননদ এর কারনে ।
বিছানার থেকে উঠে দেখি আমার বুড়ো বড় সোফায় ঘুঁটি সুটি হয়ে ঘুমাচ্ছে,
রাতে ভালো করে দেখতে ও পাইনি তাই এখন দেখছি ।
বয়স ৩৯হলে উনার মুখ দেখে সবাই বলবে ৩০/৩৫ বছর এর স্মার্ট পুরুষ।
উচা লম্বা আর অনেক কিউট লাগছে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকা আমার বুড়ো বরটাকে,
হঠাৎ আমার ধ্যান ভাঙলো আমার ছোট ননদের ডাকে তাই তাড়াতাড়ি উনাকে উঠিয়ে দিলাম,
নিসু:ভাবি কই ,ঘুম থেকো উঠো যলদি
পারভেজ:নিসু আমরা আসছি তুই নিচে যা ( আমার স্বামী)
নিসু:ওকে ভাইয়া ভাবিকে নিয়ে যলদি নিচে আয়তো , আমরা অপেক্ষা করছি
পারভেজ:হুম আসছি ।তা ঘুম কেমন হলো
আমি:জি মোটামুটি ভালো
পারভেজ: ওকে ফ্রেশ হয়ে নিচে আসো আর হে আমাদের বিষয়টা যাতে না জানে ওকে
আমি: হুম
(এই বলে আমার বুড়ো বরটা ওয়াশ রুমে চলে গেলো,
ওয়াশ রুম থেকে বেরিয়ে এসে
পারভেজ:যাও ফ্রেশ হয়ে নিচে আসো ওকে
আমি: আচ্ছা, আপনি যান।
( এই বলো উনি চলে গেলেন ,
রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
আর আমিও ওয়াশ রুমে গিয়ে সাওয়ার টা করে নিচে গিয়ে দেখি আমার দুই নদদ আর তাদের জামাই সাথে আমার বুড়ো বরটা খাবার টেবিলে আমার জন্য অপেক্ষা করছে,
একটু সরম পেয়ে গেলাম দেত একটু যলদি আসলে পারতাম
মিসু:গুড মর্নিং ভাবি
আমি:গুড মর্নিং
নিসু: কেমন ঘুম হলো ভাবি(মুখ চেপে হেসে)
মিসু: এই চুপ করবি তুই সব সময় ফাজলামো,
এতো বড় হলো তবুও দুষ্টুমি একটু ও গেলো না।
(আমরা এতো কথা বলছি ,
কিন্তু আমার বুড়ো বরটা কখন থেকে নিচের দিকে তাকিয়ে খাবার খেয়েই যাচ্ছে তো খেয়েয় যাচ্ছে মনে হয় কত বছর যেনো কিছু খায়নি তাই শুধু গিলছেই)
নিসুর স্বামী: দুষ্টুমি যাবে কি করে আমার জীবন তেজপাতা না করা পর্যন্ত ওর শান্তি নেই
নিসু:কি বললা তুমি আমি তোমার জীবন তেজপাতা করে দিচ্ছি ,
এতবড় কথা তাও আবার নতুন ভাবির সামনে,
দাঁড়াও বাসায় যেয়ে নি দেখাবো তোমার মজা আমি। রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
পারভেজ:নিসু কি হচ্ছে কি এসব ,খাবার টেবিলে এতো কথা আমি পছন্দ করি না
মিসু:সরি ভাইয়া,এই নিসু থামবি
(ওদের কথা শুনে আমার এতো হাসি পাচ্ছে তা বলার মতো না বেচারা নিসুর হাজব্যান্ড এর মুখ টা দেখার মতো হয়েছে।
বউ এর ভয়ে মুখটাকে বাংলার পাঁচ করে রেখেছে ।
আর নিসু গজগজ করে খাচ্ছে আর বরের দিকে খিটখিট করে তাকাচ্ছে।
আর এসব দেখেই হাসিতে আমার পেট ফেটে যাচ্ছে,
বাসায় গেলে কি হাল হবে এই চিন্তায় বেচারা এখনি খেতে পারছে না
অন্য দিকে আমার ননদ মিসু তার হাজবেন্ড এর সাথে রোমান্টিকতা করছে।
অনেক কষ্টে হাসি চেপে, সকালে নাস্তা শেষ হলে আমার বুড়ো বরটা আর ননদাইরা বাইরে চলে যায়।
দুপুরে ছোট আয়োজনে আমার বউভাত শেষ হলো ।
তেমন কেউই আসলো না শুধু পারভেজ (আমার বুড়ো স্বামী)এর কয়েক জন বন্ধু ছাড়া।
আর আমার বাবা-মা আসেনি কারণ আজি আমরা যাবে আমাদের বাড়িতে,
কিন্তু আমার কোনো ইচ্ছা নেই বাবার বাড়িতে যাবার।
রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
আজ বাবার কারণেই আমার এতো কিছু সহ্য করতে হচ্ছে তাই।
তবুও নিয়ম নাকি বিয়ের পরে বরকে নিয়ে নিজের বাড়িতে যেতে হয়।
আর আমাকে বিদায় করে পরে আমার দুই ননদি যাবে তাদের শশুর বাড়ি।
তাই বিকেলে বের হয়ে গেলাম ওদের থেকে বিদায় নিয়ে।
গাড়িতে আমি একটা কথাও বলিনি ,
এবং আমার বুড়ো বরটাও ,
উনাকে দেখলে মনে হবে কথা না বলার ভৌত পালন করছে।
আড়চোখে যতোবার দেখছি রাগে আমার মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে,
যেখানে আমার মতো কিউট আর অল্প বয়সী মেয়ে বসে আছে সেইদিকে উনার কোনোই লক্ষ নেই ,
এমনি এমনি তো বুড়ো বর বলি না।
হঠাৎ গাড়ির হর্ন এ আমার হুশ ফিরল,
আমি:কি হয়েছে কি এতো হর্ন বাজাচ্ছেন কেনো
পারভেজ: কখন থেকে চেয়ে আছো আমার দিকে জীবনে ও পুরুষ মানুষ দেখোনি নাকি,
আমি দেখতে স্মার্ট এটা আমি জানি, রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প
আমি:(উনার কথায় আমি একটু লজ্জা পেলাম দেত কেনো যে চেয়ে থাকতে গেলাম ,
তবুও বলে উঠলাম —
কি আপনি স্মার্ট বুড়ো একটা ,
আর আমি আপনার দিকে চেয়ে থাকিনি বাইরে চেয়ে ছিলাম বুঝলেন।
পারভেজ: এখানে হাসার কি হলো ,
আর আমি বুড়ো মানে ,
বয়স না হয় একটু বেশি তোমার থেকে,
তাই বলে বুড়ো না।
আর তুমি যদি আমার দিকে চেয়ে নাই থাকো তাহলে কখন থেকে তোমার বাসার সামনে দাঁড়িয়ে আছি তার হুঁশ কেনো নেই
আমি:ইস আল্লাহ আমি তো সত্যিই খেয়ালি করি নি,
কখন আমাদের বাসার সামনে আসলাম ছিঃ ছিঃ ছিঃ কি লজ্জার একটা কাজ করলাম,
আর এই বুড়ো বরটাও না যেখানে সেখানে লজ্জা দিচ্ছে।
তবুও কথায় হারলে তো আমার হবে না তাই বলে উঠলাম,
আপনি মোটেও একটু বয়সে বড়ো না আমার দ্বিগুন বড়ো ,বুড়ো বর কোথাকার
(এই বলে হাসতে হাসতে গাড়ি থেকে নেমে বাসাই চলে গেলাম,
একবার ও পিছন দিকে তাকায়নি,
নিশ্চয় রাগি ভাবে তাকিয়ে আছে না হয় আবাল বনে গেছেন হা হা হা হা হা)
1 thought on “রোমান্টিক ভালোবাসার গল্প part 1”